বায়ুদূষণের প্রধান কারণ ফিটনেসবিহীন যানবাহন: সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
ছবি সংগৃহীত
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বায়ুুদূষণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, কলকারখানা ও ইটের ভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া। নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট ধুলার কারণেও বায়ুদূষণ হচ্ছে।
জাতীয় সংসদে রোববার মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বায়ুুদূষণে ল্যান্ডফিলের নির্গত মিথেন গ্যাসের প্রভাব আশঙ্কাজনক নয়। তার পরও মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনসংক্রান্ত প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
রাজধানীতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা : আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা আছে। রাজধানীর ফুটপাতগুলোর যত্রতত্র বাজার/দোকান বন্ধ করে একটি হলিডে মার্কেটের স্থান নির্ধারণ করে হকারদের পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান তিনি।
জবাবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ইতোমধ্যে পাঁচটি স্থানে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। এগুলো হলো-মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে, গুলিস্তান জিপিও সংলগ্ন বায়তুল মোকাররম লিংক রোড, সেগুনবাগিচা বিভাগীয় অফিস সংলগ্ন কার্পেট গলি, মতিঝিল দিলকুশা ইউনুস টাওয়ারের সামনে ও গুলিস্তান নবাবপুর রোডে।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবন্ধু হকার্স মার্কেট, গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, শেরেবাংলা হকার্স মার্কেট, সদরঘাট হকার্স মার্কেট ইত্যাদি মার্কেটে হকারদের দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়াও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ সেকশন থেকে হোসেন উদ্দিন খান ১ম লেন পর্যন্ত সাপ্তাহিক বাজারে হকাররা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছেন।
শিল্প প্রকল্প নিবন্ধন : নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের ২২ জুন পর্যন্ত বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে মোট এক হাজার ৮৭টি শিল্প প্রকল্প নিবন্ধন দিয়েছে। এর মধ্যে ৯৬১টি স্থানীয়, ৬০টি যৌথ উদ্যোগে ও ৬৬টি বিদেশি শিল্প প্রকল্প রয়েছে।
তিনি বলেন, এসব নিবন্ধিত শিল্প প্রকল্পের বিপরীতে ওই সময়ে মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে আট লাখ ৫৬ হাজার ৫০২ মিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় সাত লাখ ৫৬ হাজার ৪১ মিলিয়ন টাকা ও বৈদেশিক এক লাখ ৪৬১ মিলিয়ন টাকা।
শিল্প প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ : এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিডা বেসরকারি খাতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, উন্নত সেবা প্রদান, কার্যকর সমন্বয় সাধন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে।
বিডা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত চার হাজার ৭১১টি (স্থানীয় চার হাজার ১৩০টি এবং বৈদেশিক ৫৮১টি) শিল্প প্রকল্পের নিবন্ধন প্রদান করেছে। এর বিপরীতে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন টাকা। এতে মোট পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫৬ জনের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।