চামড়ার ন্যায্য দাম কেন পাওয়া যাচ্ছে না, জানালেন ভোক্তা অধিদপ্তর ডিজি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
ফাইল ছবি
দেশে চামড়ার চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
শনিবার এফডিসিতে কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ছায়া সংসদে প্রাইম ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি বছর ২০ লাখ চামড়ার চাহিদা থাকে। কিন্তু চামড়ার জোগান হয় দুই কোটি। কুরবানির ঈদের সময় ঢাকায় চার লাখ উদ্বৃত্ত চামড়া থাকে। যা প্রক্রিয়াকরণ সঠিক সময়ে করা যায় না। তিনি জানান, এ বছর কুরবানির চামড়া ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয়নি। কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট দেখা না গেলেও এর প্রভাব রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা একটি ঈমানি দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করতে না পারায় সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষ তাদের প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিবেশ সুরক্ষার যে লক্ষ্য নিয়ে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়েছে, পোস্তগোলায় চামড়া প্রক্রিয়াকরণ অব্যাহত থাকায় সে লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ২০১৯ সাল থেকে চামড়ার দামে ক্রমাগত যে ধস নেমেছে তা এখনো পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
অভিযোগ রয়েছে ট্যানারি মালিক ও আড়ৎদাররা সিন্ডিকেট করে পানির দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করছে প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের। চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো সিন্ডিকেট আছে কিনা তা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি বলেন, কুরবানির চামড়ার মূল্য গরিব দুঃখী মানুষের হক। সিন্ডিকেট করে যদি কেউ এই হক নষ্টের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।