Logo
Logo
×

জাতীয়

এমপি আজিম হত্যা

মাংস টুকরো করার দায়িত্বে ছিল ফয়সাল, মোস্তাফিজ ও জিহাদ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম

মাংস টুকরো করার দায়িত্বে ছিল ফয়সাল, মোস্তাফিজ ও জিহাদ

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানিয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড কাটআউট পদ্ধতিতে সংগঠিত হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বে ছিলেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্ল্যা ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। আর পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন আনারের ব্যবসায়িক পার্টনার শাহীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় শাহীনকে ডিবি পাচ্ছে না তা প্রায় নিশ্চিত। ফলে আনার হত্যার পেছনের কলকাঠি যারা নেড়েছেন তাদের বিষয়ে খুব একটা অগ্রসর হতে পারছে না ডিবি। 

এদিকে আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেফতার মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী ডিবির কাছে ছয় দিনের রিমান্ডে আছে। বুধবার সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে খাগড়াছড়ির ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডের মাঝখানে পাতাল কালী মন্দির থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একাধিক টিম। 

শাহীন ছাড়া তদন্তে গতি আসছে না

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ হত্যা মিশনের বর্ণনা দিচ্ছে যা এর আগে গ্রেফতার শিমুল ও তানভীরের বক্তব্যের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে। আনারকে হত্যার পর তার মাংস টুকরো টুকরো করার দায়িত্ব ছিল ফয়সাল, মোস্তাফিজ ও জিহাদের; রিমান্ডে এ বিষয়ও স্বীকার করেছে তারা। শিমুল ভূঁইয়ার কথায় তারা হত্যায় অংশ নেয় বলেও স্বীকার করেছে। তবে গ্রেফতারের সময় মন্দির থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে আঘাত পান তারা। কিছুটা অসুস্থতার কারণে জোরালোভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। 

রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন শনিবারও ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আনার অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি ওয়ারী বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান। 

শনিবার দুপুরে ডিবি ওয়ারী বিভাগের সামনে কথা হয় এ কর্মকর্তার সঙ্গে। 

তিনি যুগান্তরকে জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে নতুন করে বলার কিছু নেই। 

তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট অপর এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ‘আক্তারুজ্জামান শাহীনকে ছাড়া তদন্ত আর অগ্রসর হচ্ছে না।’ 

উল্লেখ্য, এমপি আনার ১২ মে ভারতে যান। পরদিন ১৩ মে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন তিনি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ২২ মে। ওইদিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় আনারের মেয়ে ডরিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। এছাড়া ভারতে একটি হত্যা মামলা হয়। দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম