ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, দুই চিকিৎসককে শাস্তি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৩:১৭ এএম
চিকিৎসায় অবহেলা ও মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। ওই দুই চিকিৎসক হলেন- রাজধানীর বসুন্ধরার আকবর হেলথ কেয়ারের অধ্যাপক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডা. মো. নুরুল আজিম ও ডা. তানজিমা তাজরিন।
বিএমডিসি জানিয়েছে, ভুল চিকিৎসা প্রমাণিত হওয়ায় ডা. মো. নুরুল আজিমকে পাঁচ বছর এবং ডা. তানজিমা তাজরিনের রেজিস্ট্রেশন এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় তারা কোনো রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া বা চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিতে পারবেন না বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, একমাত্র মেয়ে শ্রেয়শী আহমেদ ঐশীর (বয়স ১৭) ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুজনিত কারণ উল্লেখ করে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর বিএমডিসিতে অভিযোগ দাখিল করেন আহমেদ রসিদ ও শর্মিষ্ঠা আহমেদ। এতে কর্নেল অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল আজিমকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল অভিযোগকারী এবং চিকিৎসক উভয়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। পরবর্তীতে কাউন্সিল কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে প্রমাণিত হয়, তিনি একজন অভিজ্ঞ ও সিনিয়র বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের ফলে রোগীর মৃত্যু হয়।
‘ডা. তানজিয়া তাজরিন মূলত ডা. নুরুল আজিমের তত্ত্বাবধানে কাউন্সেলিংয়ের কাজ করতেন। কাউন্সেলিংয়ের কাজে অদক্ষতা, অপেশাদারি আচরণ ও পেশাগত স্বীকৃত কাঠামো মেনে চলার অসামর্থ্য প্রতীয়মান হয়েছে। এ ছাড়া, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও তার ব্যবস্থাপনাবিষয়ক জ্ঞানেও উল্লেখযোগ্য ঘাটতি প্রমাণিত হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ (৬১নং আইন) এর ২৩ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিএমডিসি থেকে ডা. নুরুল আজিমের রেজিস্ট্রেশন পাঁচ বছরের জন্য এবং ডা. তানজিমা তাজরিনের রেজিস্ট্রেশন এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো, যা ২৮ জুন ২০২৪ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
‘উল্লিখিত সময়ে বিএমডিসি আইন, ২০১০ (৬১নং আইন) এর ধারা ২২ (১) অনুযায়ী তাদের রেজিস্ট্রেশন স্থগিতকালীন সময়ে তারা চিকিৎসক হিসাবে কোথাও কোনো প্রকার চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে পারবেন না। এমনকি এ সময়ে তারা নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিতে পারবেন না’, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।