এমপি আজিমের কাকুতি মিনতিতেও মন গলেনি খুনিদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
ফাইল ছবি
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, হত্যার বিষয়টি যখন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার বুঝতে পেরেছিলেন তখন অনেক কাকুতি-মিনতি করেন, বাঁচার চেষ্টা করেন। পরে দৌড় দিয়ে বের হতে চেষ্টাও করেন তিনি। এ সময় মোস্তাফিজুর তার নাকে মুখে ক্লোরোফর্ম ধরে নিস্তেজ করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করা হয়। হত্যার পর ১৯ মে দেশে চলে আসেন হত্যাকারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট ও বাবুকে নিয়ে মোবাইল উদ্ধারে যাচ্ছে ডিবি
ডিবির হারুন বলেন, এ হত্যা ঘটনায় কিমিং মিশনে অংশ নেওয়া সাত জনসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও হত্যার ঘটনায় মূল কারণ জানা যায়নি।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কলকাতায় বন্ধু গোপালের বাসা থেকে বের হওয়ার পর আনারকে নিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনের সেই ফ্লাটে নিয়ে যায় ফয়সাল। এদিকে সঞ্জিবা গার্ডেনে অপেক্ষায় ছিলেন মোস্তাফিজ, জিহাদ হাওলাদার, ফয়সাল, শিমুল ভূঁইয়া আনারকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলে রিসিভ করেন শিলাস্তি রহমান ও মোস্তাফিজুর।
তিনি আরও বলেন, এমপি আনার হত্যার ঘটনার খবর জানার পর আমরা কিন্তু মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করি। এরপর তানভীর ও শিলাস্তিকে গ্রেফতার করি।
তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর আমরা নিজেরা কলকাতায় গিয়ে সঞ্জিবা গার্ডেন পরিদর্শন করি। এই হত্যাকাণ্ডে আরও দুজন জড়িত দুজনের নাম জানতে পারি। তারা ফয়সাল ভুঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারা আত্মগোপনের জন্য ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডের মাঝখানে পাতাল কালীমন্দিরে লাল ধূতি পরে অবস্থান করছিল। সেখানে তারা হিন্দু পরিচয়ে পাতাল মন্দিরে বাঁচার জন্য লুকিয়েছিল। ফয়সাল ট্রাকচালক ছিলেন। তিনি পাহাড়ে ট্রাক চালাতেন।
ডিবি প্রধান বলেন, এই দুজনকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের একটি টিম ছিল ঝিনাইদহে, সুন্দরবনেও একটি গিয়েছিল। আর দুটি টিম খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ডে কাজ করছিল অনেকদিন ধরে। সবদিকে গোয়েন্দা জাল বিছিয়ে আমরা বুধবার দুজনকে গ্রেফতার করি। শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডের জন্য যা যা করার দরকার গ্রেফতারকৃতরা তাই করেছে।