Logo
Logo
×

জাতীয়

দাম কমবে অ্যাম্বুলেন্সের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম

দাম কমবে অ্যাম্বুলেন্সের

ফাইল ছবি

চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে সরকারের অব্যাহত নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স হ্রাসকৃত শুল্কে আমদানির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে অ্যাম্বুলেন্সের দাম কমবে। 

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ শুরু হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের ৫৩তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম বাজেট। আর অর্থমন্ত্রীর আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। 

অ্যাম্বুলেন্স আমদানির বিষয়ে বলা হয়েছে, এর ন্যূনতম দৈর্ঘ্য নির্ধারিত না থাকায় শুল্কায়নে জটিলতা দেখা যায়। উক্ত জটিলতা নিরসনে আমদানির ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের প্যাসেঞ্জার কেবিন এর ন্যূনতম দৈর্ঘ্য ০৯ ফুট নিরূপণ করে দেওয়া যুক্তিযুক্ত। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এইচ.এস কোড (H.S. Code) এর বর্ণনা পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।  

এছাড়া বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করে বিগত বছরগুলোর মত এবারও কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট। উক্ত পণ্য দুটির আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০% হতে হ্রাস করে ১% নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

অপরদিকে, স্পাইনেল নিডেল (Spinal Needle) পণ্যটির সুনির্দিষ্ট কোনো এইচ.এস কোড (H.S. Code) না থাকায় আমদানি পর্যায়ে শুল্কায়নে জটিলতা দেখা যায়। তাই পণ্যটির নতুন এইচ.এস কোড (H.S. Code) সৃজন করে ৫% আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের আগে দুপুর ২টার দিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন করা হয়। ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে সংসদে পাশ হয়ে ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে। 

জানা যায়, বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বাজেটের আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে প্রধান ভরসাস্থল হিসেবে ব্যাংক খাত বেছে নিয়েছে সরকার। 

ঘাটতি পূরণে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এই অংক চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ হাজার ১০৫ কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। তবে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় এটি বাড়িয়ে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা ঠিক করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম