৪ কেজি মাংসের টুকরো উদ্ধার, যা বললেন এমপি আনারকন্যা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ১০:২১ এএম
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মরদেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান। প্রায় ক্লু লেস এই হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পরে মঙ্গলবার (২৮ মে) নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের দলা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ কিনা তা নিশ্চিত করতে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে কলকাতায় নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের দলা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু খণ্ডাংশ বাবার কিনা তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এ জন্য ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে কলকাতা যেতে হতে পারে।
তিনি বলেন, আমার ভারতীয় ভিসা হয়েছে। যদি কলকাতা পুলিশ ডাকে, তবে ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে সেখানে যাব। আমার বাবা হত্যার সঠিক বিচার চাই। আসামি যারা রয়েছে, তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় এনে বিচার করা হোক। আমার বাবা জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন বলেই প্রধানমন্ত্রী তাকে পাঁচবার মনোনয়ন দেন। বাবার হত্যার বিচারের বিষয়টি অন্যদিকে ধাবিত করার জন্য প্রতিপক্ষরা উঠেপড়ে লেগেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান, এমপি আজিমের পরিবারের কাউকে কলকাতায় নিয়ে আসা ছাড়া দ্রুততম সময়ে লাশ শনাক্তকরণ সম্ভব নয়। তার মেয়ে ডরিনকে ইতোমধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে ডরিন এবং এমপির ভাই কলকাতায় আসতে পারেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আসার পরেই ফ্ল্যাটটি পরিদর্শন করেছি। এরপর আমরা সিআইডিকে রিকোয়েস্ট করি সেখানকার স্যুয়ারেজ লাইন দেখার দরকার আছে। সিআইডি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া ঘাতকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে আমরা সিআইডিকে সহযোগিতা করছি।
হারুন বলেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে বেশ কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এই মাংসগুলোকে ফরেনসিকের জন্য রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডিএনএ টেস্টও করা হবে। তারপরে বলা যাবে এগুলো সংসদ সদ্যের কিনা।
তিনি আরও বলেন, আমরা বুধবার (২৯ মে) সকালে কলকাতা সিআইডি কার্যালয়ে যাব। মরদেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধারের বিষয়টি অফিসিয়ালি নিশ্চিত হতে হবে। সেটা যে সংসদ সদস্য আনারের তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। আমরা আগে নিশ্চিত হই। তারপর রক্তের সম্পর্কের কাউকে কলকাতায় ডাকা হবে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য।