সেমিনারে তথ্য
আমের আঁটি থেকে উৎপাদন হবে ভোজ্যতেল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
আমের পরিত্যক্ত আঁটি থেকে উৎপাদন হবে ভোজ্যতেল। সঠিক পরিকল্পনা করে এগিয়ে গেলে ওই তেল দিয়ে দেশের বাৎসরিক ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৪ শতাংশ মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশে আম উৎপাদন : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা জানান বিশিষ্ট গবেষক ও সিরড্যাপের সাবেক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর সেলিম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর স্থানীয় পর্যায়ে গড়ে ২৫-২৭ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব আম খাওয়ার পর আঁটি থেকে ভোজ্যতেল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে দেশে মোট চাহিদার ৪ শতাংশ ভোজ্যতেল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে আম উৎপাদনে অন্যতম হলেও রপ্তানির দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু সেখান থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্ষতি হয়। এছাড়া পিক মৌসুমে উৎপাদন বেশি হওয়ায় মূল্য কমে যায়; ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত কয়েক বছরে রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও তা আশানুরূপ হয়নি।
সেমিনারে আম রপ্তানির জন্য ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলো হলো, রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার সীমিত রেখে যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে আম উৎপাদন, প্যাকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন, পরিবহণের আধুনিকায়ন, বিমানের কার্গোতে আম পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত ও সহজতর করে রপ্তানি উপযোগী আমের চাষ সম্প্রসারণ করা। আমচাষি বিশেষ করে রপ্তানির জন্য আম উৎপাদনকারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। আম থেকে উৎপাদিত পণ্য জুস, জ্যাম, জেলি, আচার, ক্যান্ডিসহ বিভিন্ন পণ্যের বিদেশি বাজার সম্প্রসারণ করা। আমভিত্তিক শিল্প স্থাপনে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া। জৈবপ্রযুক্তিনির্ভর আম উৎপাদন উৎসাহিত করা। আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্যাকিং ও পরিবহণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
সেমিনারে আম রপ্তানির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং মানদণ্ড ঠিক করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সিজেএফডির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মাদ বখতিয়ার, কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।