Logo
Logo
×

জাতীয়

পাঠকের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঠিক সাংবাদিকতা চর্চা বড় চ্যালেঞ্জ: সাইফুল আলম 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

পাঠকের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঠিক সাংবাদিকতা চর্চা বড় চ্যালেঞ্জ: সাইফুল আলম 

বক্তব্য দিচ্ছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম। ছবি: যুগান্তর

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেছেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধনের কোনো বিকল্প নেই। কাজের অভিজ্ঞতা যতই বেশি থাকুক, গণমাধ্যমে যে রূপান্তর ঘটছে; সেখানে কত বছর ধরে কাজ করছি সেটা বড় বিবেচ্য বিষয় নয়, পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটাই মুখ্য। পাঠক-দর্শকদের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঠিক সাংবাদিকতা চর্চাই এখন বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।  

অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া কর্মীদের জন্য ‘ফ্যাক্ট চেক অ্যান্ড অনলাইন ভেরিফিকেশন কোর্স’-এ সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন যুগান্তর সম্পাদক। দৈনিক যুগান্তরের আমন্ত্রণে রোববার দুপুরে যুগান্তর কনফারেন্স কক্ষে এ আয়োজন করে এশিয়ান আমেরিকান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও গুগল নিউজ ইনিশিয়েটিভ।

সেখানে রিসোর্সপারসন ছিলেন এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক সম্পাদক কাদরুদ্দিন শিশির। এতে অংশ নেন যুগান্তর ডিজিটালের কর্মীরা।  

সাইফুল আলম বলেন, পাঠক-দশর্কের প্রত্যাশা ও চাহিদা যে খাতে বিন্যস্ত হচ্ছে সেভাবে গণমাধ্যমের রূপ পাল্টাচ্ছে। পাঠক কী চাচ্ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারাই এখন গণমাধ্যমের বড় চ্যালেঞ্জ। এক সময় প্রিন্ট মিডিয়া নিয়ে পাঠক সন্তুষ্ট ছিল। সেখান থেকে সরে গিয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাহিদা তৈরি হলো। তখন মনে হয়েছিল, তাহলে কি প্রিন্ট মিডিয়া টিকবে না? পরে আবার অনলাইনের দিকে পাঠকের চাহিদা তৈরি হলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরাও অনলাইনের দিকে ঝুঁকলাম। এর কিছুদিন পরই সংযুক্ত হলো মাল্টিমিডিয়া। আমরা কিন্তু ধীরে ধীরে গণমাধ্যমের রূপান্তরের পথেই এগোচ্ছি।  

যুগান্তর সম্পাদক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অগ্রসর হচ্ছে। আমরা যদিও স্পর্শ করতে পারি নাই। বাংলাদেশের মানুষ, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা এখনো তৈরি হয়ে উঠেনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে গণমাধ্যমের অবস্থা কী হবে? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে, এটাও কিন্তু ভাববার সময় এসেছে। এটার জন্য যদি আমরা তৈরি না হই, তাহলে আমরা পিছিয়ে যাব এটা স্বাভাবিক কথা। এর সবকিছুর পেছনে যেটা দরকার মানুষকে সঠিক তথ্য দেওয়া। সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।   

যুগান্তর অনলাইন ইনচার্জ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা করেন- উপসম্পাদক আহমেদ দীপু ও এহসানুল হক, নগর সম্পাদক মিজান মালিক ও প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম বার্তা সম্পাদক জোহায়ের ইবনে কলিম।

যুগান্তরের উপসম্পাদক আহমেদ দীপু বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যেমন তথ্য পাওয়া সহজ, তেমনি নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করা কঠিন কাজ। কারণ এই সময়ে একদিকে দ্রুত নিউজ দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলে। আবার নির্ভুল নিউজ না দিতে পারলে গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যায়। একসঙ্গে একই বিষয়ে অনেক ধরনের তথ্য আসে, সেখান থেকে সঠিকটা বেছে নেওয়াই গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ। এ কারণে প্রায়োগিক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। 

উপসম্পাদক এহসানুল হক বলেন, এ দেশে অনলাইন গণমাধ্যমের সূচনালগ্নে এই মাধ্যমের সঙ্গে পথচলার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। তখন ডটকম তথা নিউজ পোর্টাল কী জিনিস মানুষ বুঝত না। তখন পত্রিকা ও টেলিভিশনের দাপট ছিল। বর্তমানে অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া মানুষের হাতে হাতে। এত এত মিডিয়ার ভিড়ে সঠিক সংবাদ, ছবি ও ভিডিও দর্শক-পাঠকদের কাছে তুলে ধরাই বড় চ্যালেঞ্জ। ডিজিটাল মিডিয়ার কর্মীরা সেই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই পথ চলছে।  

নগর সম্পাদক মিজান মালিক বলেন, আমি রিসোর্স পারসন কাদরুদ্দিন শিশিরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ফ্যাক্ট চেকিং সম্পর্কে আমাদের অনলাইন টিমকে আজকের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন করার জন্য। এ ধরনের প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতেও আমরা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। 

প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী। ফ্যাক্ট চেকিং ও অনলাইন ভেরিফিকেশন না জানলে সঠিক সংবাদ, ছবি ও ভিডিও পাঠক-দর্শকদের মধ্যে তুলে ধরা সম্ভব হবে না। আজকের প্রশিক্ষণ ডিজিটাল মিডিয়ার কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াবে বলে আমি বিশ্বাস করি। 

প্রশিক্ষক কাদরুদ্দিন শিশির এতে ইনফরমেশন ডিজঅর্ডার, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিভিন্ন ধরন, হেট স্পিচ, ছবি-ভিডিও যাচাইয়ের বিভিন্ন টুলস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

কোর্সে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- যুগান্তর মাল্টিমিডিয়ার সমন্বয়ক যোবায়ের আহসান জাবের, শিফট ইনচার্জ জাহিদ আনওয়ার, রওশন জামিল প্রধান, হেড অব আইটি সোহেল রানা প্রমুখ। 
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম