Logo
Logo
×

জাতীয়

দুর্যোগের মধ্যে আছি, এ বয়সেও হাজিরা দিতে হচ্ছে: ড. ইউনূস

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

দুর্যোগের মধ্যে আছি, এ বয়সেও হাজিরা দিতে হচ্ছে: ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা একটা দুর্যোগের মধ্যে আছি। নিজের মতো করে কাজকর্ম করতে পারছি না। এ বয়সেও মামলায় প্রতিনিয়ত হাজিরা দিতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর জামিন নিতে এসে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সারাবিশ্ব তা দেখছে।

এদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিরা।

গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এমএ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আজই শেষ হচ্ছে তার জামিনের সময়কাল। সে কারণে নতুন করে জামিন নিতে আজ তিনি আবারও শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এসেছেন।

এ মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম