ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
বিচার চেয়ে ৬ মাস ধরে হাইকোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন মনজিলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
ছবি: যুগান্তর
ছেলে হত্যা মামলার স্থগিতাদেশ তুলতে উচ্চ আদালতের বারান্দায় গত ছয় মাস ধরে ঘুরছেন রংপুরের দরিদ্র নারী মনজিলা বেগম (৫০)। অর্থের অভাবে আইনি লড়াই করতে পারছেন না তিনি। স্থগিতাদেশের কারণে বিচারিক আদালতে বিচার কাজও থেমে রয়েছে।
এরই মধ্যে জামিনে বের হয়ে গেছেন আসামিরা। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী মনজিলাকে হুমকি দিচ্ছেন।
রোববার সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড (আইনগত সহায়তা) অফিসের সামনে প্রতিবেদকের কাছে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মালতলা ভবানীপুর গ্রামের কৃষক মজনু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে পার্শবর্তী বাড়ির লোকজন।
নিখোঁজ এমপি আনারের সর্বশেষ অবস্থান জানালেন ডিবিপ্রধান
এ ঘটনায় পর দিন মা মনজিলা বেগম বাদী হয়ে মিঠাপকুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৯ মে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
এদিকে পাঁচ আসামি একই গ্রামের সাইদুল ইসলাম, সাহেব আলী, সুফিয়া বেগম, চম্পা বেগম, ইয়াসমিন বেগম এ মামলার বিচার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ অক্টোবর সুফিয়া বেগম, চম্পা বেগম ও ইয়াসমিনের ক্ষেত্রে বিচার কার্যক্রমে রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর রংপুরের বিচারিক আদালতে বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
মনজিলা বেগম জানান, বর্তমানে বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর গত ছয় মাস যাবত আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন তিনি।
এদিকে আসামিরা জামিন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মামলা তুলে না নিলে মনজিলাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি। নিহত মজনু মিয়ার তিন ছেলেকে নিয়ে দারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন দরিদ্র মনজিলা।
মনজিলা বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আইনি পরবর্তী কার্যক্রম কী আমি জানি না। রংপুরের একজন আইনজীবী সুপ্রিমকোর্টের লিগ্যাল এইড অফিসে পাঠিয়েছেন। লিগ্যাল এইড অফিসের স্যার বলেছেন অপেক্ষা করতে।