জাল সনদে চাকরি: বিআরটিএ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
কারিগরি প্রশিক্ষণের জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মোটরযান পরিদর্শক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সোমা হোড় মামলাটি করেন। এতে তার চাকরি জীবনে নেওয়া ৩৫ লাখ টাকা বেতন-ভাতাকে আত্মসাৎ হিসাবে উলেখ করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১১ মে বিআরটিএ’র মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পান তানভীর আহমেদ। তখন ৩৮টি পদের বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল- মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাস এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে অটোমোবাইল বা অটোমোটিভ ট্রেড ও কারিগরি বৃত্তিমূলক দ্বিতীয় পর্ব পাস। পরীক্ষার পর উত্তীর্ণ মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য মেধা তালিকার ক্রমানুসারে মোট ১৩ জনের নাম সুপারিশ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ১ ডিসেম্বর তানভীর আহমেদ মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে বিআরটিএতে যোগ দেন।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামে করা তানভীর আহমেদের সনদটি জাল। অর্থাৎ সনদটি ওই কলেজ থেকে ইস্যু হয়নি।
এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে তানভীর ২০০৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ টাকা বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন।