২০২৩ সালে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া খর্ব করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে ওই ভিসানীতি নিয়ে নতুন কোনো আপডেট আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে অব্যাহত ভোট কারচুপির নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির জালিয়াতির নির্বাচনের পর সদ্য উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বয়কট করেছে। ভীতি প্রদর্শন, ভোট কারচুপি, হয়রানি, সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতি ছিলে এ উপজেলা নির্বাচনে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া খর্বকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর যে ভিসানীতির ঘোষণা দিয়েছিলে সে বিষয়ে কী আপনার কাছে নতুন কোনো তথ্য রয়েছে?
জবাবে মিলার বলেন, ঘোষণা করার মতো নতুন কোনো তথ্য আমার হাতে নেই। অবশ্যই যখন আমরা কারো বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেই তখন সেই নীতির বিষয়টি জনসম্মুখে জানিয়ে দেই। আর মাঝে মাঝে গোপন রাখা হয়।
এ ব্রিফিংয়ে ওই সাংবাদিক মিলারকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়েও প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নাগরিক হত্যা একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে হচ্ছে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে, ভারতকে কি যুক্তরাষ্ট্র এসব কাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে পারে?
জবাবে মিলার বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, ভারতীয় ও বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থাগুলো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং আমরা হত্যাকাণ্ড বন্ধে তাদেরকে তদন্তের কথা বলব।