সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই নিজ আয় থেকে পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ এবং উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে।
মোট ১৪টি উড়োজাহাজ কিনতে ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এগুলো হলো বোয়িং কোম্পানির নতুন ২টি ৭৩৭-৮০০, ৪টি ৭৭৭-৩০০ই আর, ৬টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানির ২টি ড্যাস-৮কিউ৪০০।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির কাছ থেকে নেওয়া এসব ঋণের আসল ও সুদ বাবদ মোট ১ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ডলার চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত কিস্তির হিসাব অনুযায়ী বিলম্ব ছাড়াই পরিশোধ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিমানের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) আল মাসুদ খান এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালে একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ২০২৩ সালে বিমান দুটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের পুরো ঋণ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেছে এবং ২০২৫ সালে আরও ২টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ হবে।
বিমান জানায়, করোনার সময় বাংলাদেশ বিমান চলতি মূলধন বাবদ সরকারের আর্থিক প্রণোদনা ঋণ হিসেবে মোট ৭৮৮ কোটি টাকা নেয়। পরে বিমান এই ঋণের আসল ও সুদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করে।
বিমানের বহরে লিজে থাকা দুইটি ড্যাশ-৮-৩০০ এবং দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের লিজ শেষ হওয়ার পর নিজ তহবিল ব্যবহার করে কিনতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে বিমানের বহরে নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা ১৯টি।