নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে: সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
![নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে: সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/05/07/image-802708-1715095396.jpg)
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এতে কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া অত্যধিক গরম এবং দেশের কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে পারব।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তা নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। এতে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।
গাবতলীতে হবে মাল্টিমোডাল বাস টার্মিনাল: স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা সংবলিত মাল্টিমোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে।
এছাড়া ভবিষ্যতে গাবতলী বাস টার্মিনালকে সিটি বাস টার্মিনালে রূপান্তর করা হবে এবং হেমায়েতপুরে আধুনিক আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ৭১-ক বিধিতে মাইনুল হোসেন খান নিখিলের উত্থাপন করা নোটিশের জবাবে তিনি একথা বলেন।
নোটিশে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালটি আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে এখানে নিয়মতান্ত্রিক পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ যানজটের কারণে দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যদি গাবতলী টার্মিনালকে আধুনিকায়ন করা হয়, তাহলে এসব অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা রোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চান তিনি।
জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালটি যে স্থানে অবস্থিত, সেখানে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অধীনে নর্দান রুটে গাবতলী পাতাল মেট্রো রেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য বর্তমান অবস্থান থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ১২ দশমিক ৮০ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। নতুন অস্থায়ী টার্মিনালটি ৬ হাজার ৪০০ বর্গমিটারের। সেই সঙ্গে ২৬০ গাড়ি রাখার জন্য ডিপো নির্মাণ করা হবে।