মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। গাজীপুর বিএনপির অবস্থান নষ্ট হওয়ায় তাকে রাজপথে পেটানো হয়েছিল। পরে হত্যা করা হয়। গুম, খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি। 

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জন প্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শহীদ আহসান্ উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ আলোচনাসভার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বুঝতে পেরেছিল যে, গাজীপুরে তাদের অবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক ও ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। এ জন্যই আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছিল। আর আজকে হত্যাকারীরা বলে এই দেশে গণতন্ত্র নেই। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো একজন ত্যাগী নেতা জীবিত থাকলে এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। সংসদ-সদস্য থাকা অবস্থায় রাজপথে তাকে পেটানো হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সাংবাদিক মো. আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া প্রমুখ।