আজ থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। এছাড়া বাড়ছে কনটেইনার পরিবহণ ভাড়াও। এ নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি বিরাজ করছে।
রেলওয়ে অপারেশন দপ্তর সূত্র জানায়, শনিবার থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই। ২৪ এপ্রিল থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়। কারণ ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
অতীতের নিয়ম অনুযায়ী, ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন রেলের যাত্রীরা। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে। এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এ সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রভাব সব যাত্রীর ওপর পড়বে না। ১০০ কিলোমিটারের বেশি যারা ভ্রমণ করবে তারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। রেয়াতি সুবিধা বাতিলের কারণে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় হবে রেলের।