ওয়াচ টাওয়ার-ড্রোন দিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯ এএম
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে প্রত্যেকটি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও ড্রোন দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
শনিবার রমনার বটমূলে বর্ষবরণ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শনিবার বঙ্গাব্দ ১৪৩০ এর শেষ দিন, চৈত্র সংক্রান্তি। রোববার ১৪৩১ সালের প্রথম দিন, পহেলা বৈশাখ, শুভ নববর্ষ। বাংলা নববর্ষের এই দিনটি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করার জন্য সারা জাতি উন্মুখ হয়ে আছে। সারা দেশে এ অনুষ্ঠান পালন করা হবে। প্রধান অনুষ্ঠানগুলো স্বভাবতই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, রবীন্দ্র সরণি ও হাতিরঝিলসহ সারা ঢাকায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা হবে। এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজনে সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার শঙ্কা নেই। তবু অতীতের হামলার ঘটনা মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, অনুষ্ঠান শুরুর আগে অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশ এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং ডিএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট অনুষ্ঠানস্থলে তাদের মহড়া সম্পন্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা পার্ক এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু কিছু জায়গায় ডাইভারশন দেওয়া হবে। গাড়ি চালক ও যাত্রীগণ এসব নির্দেশনা প্রতিপালন করবেন ও পুলিশকে সহায়তা করবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমনা পার্কের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে আগতদের আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দ্বারা তল্লাশি করা হবে। পার্কের ভিতরে ও বাইরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি), স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তৎপর থাকবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।