মাওলানা মামুনুলের মুক্তিসহ সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি হেফাজতের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
মাওলানা মামুনুল হকের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হেফাজতের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার এক বাণীতে এ দাবি জানান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
কারাবন্দি আলেম মাওলানা মামুনুল হক প্রসঙ্গে তারা বলেন, অত্যন্ত ব্যথিত মনে জানাচ্ছি, এখনো আমাদের হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক কারাবন্দি হয়ে আছেন। জামিন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। অনতিবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে ২০১৩ সাল থেকে অদ্যবধি হেফাজতের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের অসহায় গরিব মানুষের জন্য জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাদের ঘরে আজ নেই ঈদের কোনো আনন্দ ও খুশির আমেজ। তাই সেসব দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফোটাতে এবং তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে সমাজের বিত্তশালী ও সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার জন্য আমরা আহ্বান করছি।
বাণীতে শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সাজিদুর রহমান বলেন, ঈদের দিন হলো মুসলমানদের জন্য আনন্দ ও খুশির দিন। শরিয়তের সীমারেখার মধ্যে ঈদের আনন্দ ও খুশি উদযাপনে কোনো প্রকার বাধা নেই। তবে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ও পশ্চিমা অপসংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করা সম্পূর্ণ হারাম।
অরাজনৈতিক দাবি করা সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে অর্জিত সংযম ও সহমর্মিতার শিক্ষায় সমুজ্জ্বল ঈদুল ফিতর বিশ্ব মুসলিমের কাছে পবিত্র আনন্দের বার্তা নিয়ে সমুপস্থিত। ধনী-গরিবের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগির এক মোক্ষম সুযোগ হচ্ছে ঈদুল ফিতর। আমরা দেশের জনগণসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
তারা আরও বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া, তাহারাত ও সহমর্মিতার যেই শিক্ষা আমরা অর্জন করেছি তা আমাদের আগামী এগারো মাস নিজের জীবনে প্রতিফলন করতে হবে। তাহলেই আমরা সফলকাম হবো।