টেলিভিশনের গাড়িতে ছিনতাই মারধর, রেল ক্রসিং এলাকা কারো নয় বলে ৩ থানার গড়িমসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিং এলাকায় সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন ৭১ টিভির গাড়িতে ছিনতাইকারীদের হামলা, টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ছিনতাইয়ের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে এলাকাটি তাদের নয় বলে একে অপরের ওপর দায় চাপাতে থাকে। তিন থানার গড়িমসির পর কারওয়ানবাজার রেল ক্রসিং এলাকা আসলে কার- সেই প্রশ্ন সাংবাদিকসহ নগরবাসীর।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, ৭১ টিভির গাড়ি বারিধারা অফিস থেকে দুজন ভিডিও এডিরটকে ধানমন্ডিতে নামিয়ে দিতে যাচ্ছিল। কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিং সিগন্যালে গাড়ি দাঁড়ালো ৭১ টিভির গাড়ি চালক মাহবুবের গলায় ক্ষুর ঠেকিয়ে তার মানিম্যাগ নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। হামলার খবর পেয়ে একাত্তর টিভির রিপোর্টার ইশতিয়াক ইমন ক্যামেরাম্যানসহ ঘটনাস্থলে গেলে ছিনতাইকারীরা সংঘবদ্ধভাবে তাদের উপর ইট পাথর নিক্ষেপ করে। ক্যামেরাম্যান খোরশেদ আলমকে জিম্মি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় উপর্যুপরি কিল গুষি মেরে জখম করে তাকে। হামলা থেকে বাঁচতে পুলিশের সহযোগিতার জন্য গেলে সন্ত্রাসীরা গাড়িতে থাকা থাকা টাকা ও ঈদের জন্য সদ্য কেনা পোশাক লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে তিন থানার পুলিশ এসে একে অন্যের এলাকা বলে নিজেদের দ্বায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে প্রথমে তেজগাঁও থানা পুলিশ এসে জানায়- এটা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মধ্যে পড়েছে। আর শিল্পাঞ্চল থানা বলছে- এটা হাতিরঝিল থানার সীমানার মধ্যে পড়েছে। অন্যদিকে হাতিরঝিল থানা বলছে- এটা তাদের এলাকা নয়।কারওয়ানবাজার রেল ক্রসিং এলাকা আসলে কার এই প্রশ্ন
নগরবাসীর? ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিচার পেতে এখন তারা যাবেন কোথায়?
এদিকে, অনেকক্ষণ দায় এরানোর পরে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায় তিন থানার পুলিশ।