Logo
Logo
×

জাতীয়

৩১ বছর আগের গরু চুরির মামলায় খালাস পেলেন আসামি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

৩১ বছর আগের গরু চুরির মামলায় খালাস পেলেন আসামি

৩১ বছর আগে নীলফামারীর সদর থানায় গরু চুরির মামলায় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালতের রায় এবং আদেশ বাতিল করে আসামি তোফাজ্জল হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

রায়ে আদালত বলেছেন, কথিত গরু চুরির ঘটনায় করা এ মামলায় এজাহার দাখিল, গ্রহণ এবং তদন্তে ব্যাপক অবহেলা, অনিয়ম ও অন্যায় হয়েছে। এছাড়া সাক্ষ্য, নথি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে উভয় আদালত চরম অবহেলা ও অনিয়ম করেছেন, যা বিচারক সুলভ নয়। 

আদালত রায়ে বলেছেন, নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মামলা করার ক্ষেত্রে যার গরু চুরি হয়েছে তার থেকে পুলিশই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ শনিবার ১২ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, অবগতি ও পর্যালোচনার জন্য ওই রায় ও আদেশের অনুলিপি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হলো। একইসঙ্গে রায় ও আদেশের অনুলিপি বাংলাদেশের প্রত্যেক থানার সব এজাহার গ্রহণকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া রায় ও আদেশের অনুলিপি জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রকাশিত রায়ে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী জেলার সদরের ধোবাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বৈকুণ্ঠ রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় তাদের ৫টি গরু চুরির অভিযোগে নীলফামারী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাইফুল ইসলাম ও তোফাজ্জাল হোসেনকে আসামি করেন। 

পরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দবির উদ্দিন সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন এই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন নীলফামারীর ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামি সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেনকে খালাস দেন। একইসঙ্গে আসামি তোফাজ্জল হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

পরে ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি নীলফামারীর দায়রা জজ আদালত বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন আসামি তোফাজ্জল হোসেন। রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট উভয় আদালতের রায় ও আদেশ বাতিল করেন। সেই রায় শনিবার প্রকাশিত হলো।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম