Logo
Logo
×

জাতীয়

জাপানি মা বাংলাদেশি বাবা

পরিস্থিতি বিবেচনায় শিশুদের ভাগাভাগি করা হয়েছে: হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

পরিস্থিতি বিবেচনায় শিশুদের ভাগাভাগি করা হয়েছে: হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

‘ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি বিবেচনা করে’ দুই মেয়েকে জাপানি মা ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবার কাছে ভাগাভাগি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মেয়ের হেফাজত নিয়ে বাবার করা রিভিশনের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন অভিমত দিয়েছেন বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। ১৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই রায়ের ৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। 

২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান শিশুদের জিম্মা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে রায় দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে পরদিন ইমরান শরীফ আপিল করেন জেলা জজ আদালতে। ১২ জুলাই জজ আদালতও ইমরান শরীফের আবেদন খারিজ করে দেন। তারপর তিনি হাইকোর্টে রিভিশন করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি সে রিভিশন আংশিক মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের রায় থেকে উদ্ধৃত করে হাইকোর্ট বলেন, জেসমিন তার মায়ের সঙ্গে এবং লায়লা লিনা তার বাবার কাছে থাকার পরিষ্কার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এই কোর্টও তাদের দুইজনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন এবং তারা একই ধরনের ইচ্ছা পোষণ করেছেন। লিনা বলেছে, কোনো অবস্থাতেই সে বাবাকে ছেড়ে যাবে না। বাবার সঙ্গে থাকা বর্তমান বাড়িতে সে সন্তুষ্ট। 

এ সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে উচ্চ আদালত বলেন, আমার অভিমত এই যে, লায়লা লিনা শরীফের মামলাটিকে ব্যতিক্রমী মামলা হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং মানসিক অবস্থা ও চরম ইচ্ছার কথা বিবেচনা করে এই সন্তানের হেফাজত প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বাবার হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। 

দুই সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সাক্ষাতের বিষয়ে রায়ে বলা হয়, উভয় পক্ষকেই (পিতা ও মাতা) নিজেদেরই শিশুদের পরিদর্শনের (সাক্ষাতের) পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। রায়ের আদেশ অংশে আদালত বলেন, জেসমিন মালিকা শরীফের হেফাজত মায়ের পক্ষে নির্ধারণ করা হবে, তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি বিবেচনা করে কন্যা লায়লা লিনা শরীফের হেফাজত প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত বাবার কাছে থাকবে।

১৩ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর শিশির মনির বলেন, তাদের তিনজন মেয়ে সন্তান আছে। তার মধ্যে প্রথম জন জেসমিন ও ছোটজন সোনিয়া মায়ের কাছে থাকবে। যে কোনো স্থানে যে কোনো সময় আনা-নেওয়া যাবে। দ্বিতীয় সন্তান লায়লা বাবার কাছে থাকবে। তিন সন্তানের সঙ্গে বাবা মা যে কোনো সময় সাক্ষাৎ করতে পারবেন। তবে দুই পক্ষই আপিল করার কথা জানিয়েছেন।

২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান জাপানি আইনানুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিনজন সন্তান জন্ম নেয়।

আদালতে বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আখতার ইমাম, রাশনা ইমাম, নাসিমা আক্তার ও রেশাদ ইমাম। এরিকো নাকানোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি ও মোহাম্মদ শিশির মনির। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম