ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি: শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
পিএইচডি ডিগ্রির সনদ জাল। অভিজ্ঞতার সনদও ভুয়া। তারপরও সবস্তর পেরিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়োগ পেয়েছিলেন শিক্ষা ক্যাডারে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে। জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া এই ব্যক্তির নাম এসএম আলমগীর হোসেন। তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম। সংস্থার ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি করা হয়। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আলমগীর ২০০৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে নিয়োগ পান। ওই পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে চারটি শর্ত ছিল। যার মধ্যে প্রার্থীদের ডক্টরেট ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির øাতকোত্তর ডিগ্রি বা দ্বিতীয় শ্রেণির সম্মান ডিগ্রিসহ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রার্থী যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক চারিত্রিক সনদ দাখিল করতে হবে। প্রার্থী যেসব সরকারি-বেসরকারি কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন সেসব কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিগ্রি কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের হতে হবে এবং তার অর্জিত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ডিগ্রি পর্যায়ের অভিজ্ঞতার সনদে তা অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে। অভিজ্ঞতার সনদে কলেজটি ডিগ্রি কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ডিগ্রি পর্যায়ের না থাকলে এবং অভিজ্ঞতার সনদ জমা না দিয়ে যোগদানপত্র জমা দিলে প্রার্থিতা বাতিল হবে।
কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আসামি আলমগীর আবেদনের সঙ্গে কামডেন ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসের পিএইচডি ডিগ্রি সংযুক্ত থাকলেও ওই নামের কোনো রেজিস্ট্রার্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ায় পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক পদে চাকরির আবেদনের জন্য ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার মধ্যে ২ বছর ৩ মাস ১১ দিনের ঘাটতি ছিল। অর্থাৎ তিনি চাকরির আবেদনে ডক্টরেট ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। আসামি আলমগীর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদ থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তৎপরবর্তীতে তৃতীয় সচিব হিসাবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মকালীন সরকারি কর্মচারী হয়ে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।