অবশেষে বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশ পেলেন আফরোজা, যে কারণে আটকে ছিল ১০ বছর

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
আফরোজা খানম ২০১২ সালে ৩৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৩ সালে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার পর বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ–সম্পর্কিত বিষয়ে জটিলতার কারণে তার সুপারিশ স্থগিত করে পিএসসি।
পরবর্তীতে ওই মুক্তিযোদ্ধা সনদের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী তার স্থগিত ঘোষিত ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কমিশন গ্রহণ করে। ফলে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর পিএসসি থেকে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন আফরোজা খানম।
জানা গেছে, মঙ্গলবার আফরোজা খানমকে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি বলেছে, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার্থী আফরোজা খানমের (রোল নম্বর: ০২৯৭৭৪) বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ–সম্পর্কিত বিষয়ে জটিলতা থাকায় তার সুপারিশ কমিশন কর্তৃক স্থগিত রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আফরোজা খানমের দাখিলকৃত তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী স্থগিত ঘোষিত ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কমিশন গ্রহণ করেছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের প্রভাষক (ইতিহাস) পদে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে যেকোনো পর্যায়ে প্রার্থীর যোগ্যতার ঘাটতি ধরা পড়লে, দুর্নীতি, অসত্য তথ্য প্রদান বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে বা কোনো গুরুতর ভুলত্রুটি ধরা পড়লে তার সুপারিশ/মনোনয়ন বাতিল করা হবে। মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা ও যথাযথ এজেন্সি কর্তৃক প্রাক্–নিয়োগ জীবনবৃত্তান্ত যাচাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে।