Logo
Logo
×

জাতীয়

চেয়ারম্যানের স্বীকারোক্তি 

বিআরটিসিতে এখনো ১৫ শতাংশ দুর্নীতি হচ্ছে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:২০ পিএম

বিআরটিসিতে এখনো ১৫ শতাংশ দুর্নীতি হচ্ছে

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনে (বিআরটিসি) এখনো ১৫ শতাংশ দুর্নীতি হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। সোমবার রাজধানীর বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ সরল স্বীকারোক্তি করেন।

বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, আগে এ সংস্থার প্রায় শত শতাংশ দুর্নীতি হতো। এখন সেখানে ১০-১৫ শতাংশ দুর্নীতি হয়। আমি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতি অনেক কমিয়েছি। হঠাৎ করে সম্ভব নয়, দুর্নীতি ধীরে ধীরে শূন্য শতাংশে নিয়ে আসব।

তিনি বলেন, বিআরটিসি এখন নিজেরাই বাস উৎপাদন করবে। এখন সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। কারণ, বিআরটিসির জনবলকে বারবার প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিআরটিসি তেজগাঁও ও গাজীপুরে ভারী যান মেরামতের কারখানা রয়েছে। আমাদের অনেক নষ্ট গাড়ি মেরামত হয়েছে। ইঞ্জিন ও চেসিস্ট আমদানি করে নতুন গাড়ি তৈরি করব। আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল ১৫ দিনেই নতুন গাড়ি তৈরিতে সক্ষম।

তাজুল ইসলাম জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহণে অংশ নেবে ঢাকায় চলাচলকারী বিআরটিসির ৫৫০টি বাস। আমরা গত সপ্তাহে ঈদ উপলক্ষ্যে মিটিং করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাকায় আমাদের ৬০০ বাস রয়েছে। এখান থেকে ঢাকার জন্য ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। এছাড়া আমাদের বাকি দূরপাল্লার বাসগুলো নিয়মিত চলবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮২৫টি বাসের মধ্যে ৮৮৫টি বাস অনরুট ছিল। ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৬২টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ১০৬টি বাস অনরুট ছিল। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৩টি বাস অনরুটে ছিল। আর ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি অনরুটে ছিল।

তিনি বলেন, বিআরটিসি একসময় অলাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে এটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। লাভের পাশাপাশি সেবা বৃদ্ধির চেষ্টায় আমরা কাজ করছি। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন বিআরটিসির যাত্রী কমেছে কি না? জবাব হচ্ছে- না, বর্তমানে ডাবল হয়েছে যাত্রী, আয় হচ্ছে দ্বিগুণ। আমাদের গত বছরের থেকে যাত্রী বেড়েছে ২৫ শতাংশ। আগে আমরা ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেতন দিয়েছি। তাও আবার চার মাস আগের বকেয়া বেতন। কিন্তু এখন আমরা ১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বেতন দিচ্ছি। প্রতিমাসের বেতন প্রতিমাসের ১ তারিখে দিয়ে দিচ্ছি। সঙ্গে বোনাসও দিচ্ছি। এছাড়া বকেয়া বেতন-বোনাসও পরিশোধ করছি।

তিনি জানান, এখন আমরা লাভজনকভাবে চলছি। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের নতুন ডিপো লাভজনকভাবে চলছে, যেখানে অনেক পুরোনো ডিপো এখনো লাভের মুখ দেখেনি।

তিনি আরও জানান, স্মার্ট স্কুল সার্ভিস চালু হতে চলছে ঢাকায়। ইতোমধ্যে আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। আমরা বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল থেকে স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস চালু করব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম