বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার ওপর অযৌক্তিক খরচ চাপিয়েছে সরকার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মনে করে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভোক্তাদের মাসিক খরচ গড়ে ৯.৪ শতাংশ বাড়বে। নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের খরচ বাড়বে ১০৬ থেকে ১১৮ টাকা। অর্থাৎ সরকার বিদ্যুতের বর্ধিত ক্যাপাসিটি না কমিয়ে এ খাতের ভর্তুকির চাপ সম্পূর্ণ ভোক্তার ওপর খরচের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে, যা অযৌক্তিক।
বুধবার ‘বিদ্যুতের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি: ভর্তুকি সমন্বয়ের অন্য বিকল্প আছে কী?’ শীর্ষক শিরোনামে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে সিপিডি।
সিপিডির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সমন্বয়ের নামে দাম বৃদ্ধি ভোক্তাদের নাভিশ্বাস বাড়াবে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিদ্যুতের বর্ধিত ক্যাপাসিটির খরচ না কমিয়ে ভর্তুকির চাপ ভোক্তার ওপর চাপানো অযৌক্তিক। চাহিদার তুলনায় তিনগুণ হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পেছনে সরকারের ভেতরে-বাইরে যোগসাজশের ইঙ্গিত দিয়েছে সিপিডি।
ইউনিটপ্রতি ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। ৮.৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে ভোক্তার ওপর এক বছরের ব্যবধানে সাড়ে ১৭ শতাংশ বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে সিপিডির গবেষকরা বলছে, ভর্তুকি সমন্বয়ের নামে দর বৃদ্ধির ফলে শিল্পকারখানার খরচের পাশাপাশি ভোক্তাদের খরচ বাড়বে ৯.৪ শতাংশ।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক বলে মনে করে সিপিডি। চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ হারে বাড়তে থাকা উৎপাদন সক্ষমতা সমন্বয় না করে ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপ দেওয়ার সমালোচনা করেন তারা।
সিপিডি জানায়, পরিকল্পনামাফিক সরকার আরও দুবার দাম বৃদ্ধি করলে অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়বে। তাই বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ে বিইআরসির গণশুনানির পদ্ধতি পুনর্বহালের তাগিদ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।