মায়ের জামিন আবেদনের শুনানি, দাদির সঙ্গে হাইকোর্টে দুই শিশু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
নাশকতার মামলায় কারাবন্দি মায়ের জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় দাদির সঙ্গে হাইকোর্টে এসেছে চার বছর বয়সি নূরজাহান ও তার সাত বছর বয়সি বড় বোন আকলিমা। দুই বোনের মা হাফসা আক্তার নাশকতার অভিযোগে করা এক মামলায় কারাগারে আছেন। এ মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন হাফসা।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার হাফসার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগসংক্রান্ত ফুটেজ (সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ) রাষ্ট্রপক্ষকে কাল মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করতে বলেছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলতে বলা হয়েছে।
মামলায় গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা। মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিফল হন তিনি। এরপর তিনি জামিন চেয়ে গত রোববার হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনটি সোমবার শুনানির জন্য হাইকোর্টে ওঠে।
আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় দাদির সঙ্গে হাফসার দুই মেয়ে সকালে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থিত আইনজীবীর চেম্বারে আসে। পরে সেখান থেকে কোর্টে যায় (হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের ৩১ নম্বর) তারা।
১০ মিনিটের মতো শুনানি হয়। শুনানির সময় আদালত কক্ষে থাকা সর্বশেষ আসনটিতে দাদির হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিল আকলিমা। অন্যদিকে দাঁড়িয়ে থাকা কাকার কোলে ছিল নূরজাহান। গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন হয়েছিল। সেদিন নূরজাহান ও আকলিমার মতো মানববন্ধনে এসেছিল আরও কিছু শিশু। মানববন্ধনের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে লেখা ছিল- ‘রাজবন্দিদের স্বজন’।
দুই শিশুর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া ২৯ নভেম্বরের মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, তার বড় ছেলে হামিদকে পুলিশ খুঁজছে। তাকে না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। অথচ হাফসা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।