Logo
Logo
×

জাতীয়

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে ফেরা দুজন যা বললেন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে ফেরা দুজন যা বললেন

৭ তলা ভবনের পুরোটাই আগুনের ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরের লোকজন ছাদে উঠার চেষ্টা করেন। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল অনেকের। অনেকে ওই ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঁচার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে থাকেন। অনেকে গ্লাস ভেঙে গ্রিল ধরে নামেন। অনেকে লাফ দেন। আগুন লাগার পর আমরা আর গেট দিয়ে বের হতে পারি নাই। দৌড়ে উপরে যাই।

শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে কথাগুলো বলছিলেন বেইলি রোডের বাণিজ্যিক ভবনের অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে ফেরা দুজন। তারা দুজনই ওই ভবনের ভিন্ন দুটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।

নিচতলার ‘মেজবানি খানা’ নামে রেস্টুরেন্টের কর্মী কামরুল হাসান বলেন, আমরা প্রথমে একটা শব্দ পেয়ে বাইরের দিকে তাকাই। তখন গেটের সামনে আগুন দেখতে পাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের ধোঁয়া পুরো বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে যায়। আমরা আর গেট দিয়ে বের হতে পারি নাই। তখন আমরা যারা রেস্টুরেন্টে ছিলাম তারা উপরের দিকে উঠে যাই। কিন্তু সিঁড়িতে ৫ তলা পর্যন্ত উঠে আটকে যাই। আগে থেকেই অনেক লোক সেখানে অবস্থান করছিল। ওপরে আর উঠতে পারি নাই লোকের কারণে। ওই ফ্লোরে একটা রেস্টুরেন্ট আছে, আমরা কিছু মানুষ তখন সেখানে আশ্রয় নেই।

আগুনের ধোঁয়ায় ভবনে থাকা অধিকাংশ মানুষ অসুস্থ হয়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ধোঁয়ায় নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় যায়৷ যে যার মতো এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। যতটুকু দেখেছি অনেকে এই ধোঁয়ার কারণে হাঁটতে পারছিল না। এই ধোঁয়া বের হওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নাই। ওই ফ্লোরের রেস্টুরেন্টের কিচেনে একটু ফাঁকা ছিল, ওইটা দিয়ে আমি নিচে লাফ দেই। তারপর আর আমার কোনো হুঁশ ছিল না।

ভবন থেকে বের হওয়ার জরুরি কোনো সিঁড়ি ছিল না জানিয়ে কামরুল বলেন, আমি ওখানে ১ বছর ধরে কাজ করি। লিফট আর সিঁড়ি ছাড়া বিল্ডিং থেকে নামার অন্য কোনো ব্যবস্থা দেখি নাই।

কাঁচে ঘেরা বদ্ধ ভবনে বাতাস আসা-যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না জানিয়ে ওই ভবনের তিনতলায় অবস্থিত ‘খানাস রেস্টুরেন্টে’র কর্মী জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় আমি খাবার তৈরির কাজ করছিলাম। পরে আমাদের ক্যাশিয়ার এসে বলে নিচে আগুন লাগছে। সবাই উপরে আসেন। আমি বের হয়ে নিচে নামার জন্য গেলে দেখি সবাই উপরেই উঠতেছে। নিচ থেকে সিঁড়ি দিয়া কালো ধোঁয়া ওপরেই আসতাছে। দৌড়ে ছাদে যাই। সেখান থেকে অনেকের দেখাদেখি আমিও ছাদ থেকে লাফ দেই। তারপর আর কিছু মনে নাই।

ভবনের রেস্টুরেন্টগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারগুলো নিচে থাকে বলে জানান তিনি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম