ফাইল ছবি
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকাবিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, পেট্রোলিয়াম পণ্য, যেমন— ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলে সরকার যেসব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে থাকে, সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে ওই নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের আগুনে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
তবে সরকার বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে ওই নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে।
ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত ডিজেলের খরচ কম্পোনেন্টগুলোর পাশাপাশি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ক্রুড অয়েল থেকে উৎপাদিত ডিজেলের খরচ কম্পোনেন্টগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে। এ দুই ধরনের জ্বালানি তেলের খরচ কম্পোনেন্টগুলো বিবেচনা করে ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে— ডিজেলের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য (H)= পণ্য মূল্য (A) + আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট (B) + অপারেশনাল ব্যয় (C) + আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (D) + বিপিসির মার্জিন (E) +ভ্যাট (F4) + বিক্রয় ও বিতরণ খরচ (G)।
অকটেন ও পেট্রোলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত অকটেনের খরচ কম্পোনেন্টগুলো বিবেচনা করে অকটেনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে- অকটেনের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য (H)= পণ্য মূল্য (A) + আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট (B) + অপারেশনাল ব্যয় (C) + আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (D) + বিপিসির মার্জিন (E) + ALPHA (α)+ ভ্যাট (F) +বিক্রয় ও বিতরণ খরচ (G)।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ আরও জানায়, বাস্তবতার নিরিখে দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়।
বর্তমানে ডিজেল ও অকটেনের খুচরা বিক্রয় মূল্য পার্থক্য লিটারপ্রতি ২১ টাকা। ফর্মুলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণের সময় ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটারপ্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে, সে জন্য প্রাইসিং ফর্মুলায় ‘α’ ফ্যাক্টর বিবেচিত হবে।