আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার।গত সাত বছর ধরে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসা বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে হাইকোর্ট বিভাগে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার এই রদবদলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
এতদিন ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ায় তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে নতুন সদস্য করা হয়েছে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএলে) থাকা জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াকে। পিআরএল বাতিল করে তাকে ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম তার পদে বহাল রয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্রত্যাবর্তন করবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কর্মরত থাকাকালে পাওয়া সব নিরাপত্তা সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধা বিধি অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত একজন বিচারপতির সমমর্যাদার বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হককে চেয়ারম্যান, বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এ কে এম জহির আহমেদকে সদস্য করে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর আরও তিনজনকে যোগ করে প্রথম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ টি এম ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ২০১২ সালের ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। তিন সদস্যের দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারক হন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক মো. শাহীনুর ইসলাম। বিচারপতি ফজলে কবীরের স্থলে প্রথম ট্রাইব্যুনালে সদস্য করা হয় বিচারপতি আনোয়ারুল হককে।
ওই বছরের অগাস্টে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জহির আহমেদ পদত্যাগ করলে শূন্যস্থানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেয় সরকার।
স্কাইপে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথিত কথোপকথন নিয়ে বিতর্কের মুখে বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করলে ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। তিনি অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান হিসাবে আসেন। এই ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসাবে ছিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম।