পবিত্র শবেবরাত আজ। ফারসি ভাষা থেকে আসা শব্দ ‘শব’ মানে রাত আর ‘বরাত’ মানে মুক্তি। অর্থাৎ শবেবরাত অর্থ মুক্তির রাত। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল হন।
পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কুরআন তিলাওয়াত করেন ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। রাতটি উপলক্ষ্যে দিনে রোজা পালন করেন অনেকে; প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করেন খাবার।
শবেবরাত উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বাণী দিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মানবজাতির জন্য সৌভাগ্যের এ রজনী বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদর্শন করেন।
হাদিস শরিফে এ রাতকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য রজনী’। এ রাতে বন্দেগির কারণে পুণ্য ও বরকত লাভের নানা বর্ণনা হাদিস শরিফে এসেছে।
একে তাই কেউ কেউ ‘ভাগ্যরজনী’ অভিধাও দিয়ে থাকেন। এ কারণে পবিত্র শবেবরাতকে কেন্দ্র করে বাড়িতে বাড়িতে হরেকরকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরির প্রচলন রয়েছে। এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যার পর অনেকে কবরস্থানে যান আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করতে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র শবেবরাতে দোয়া মাহফিল, কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। তাই শবেবরাত থেকেই আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে, শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস।