Logo
Logo
×

জাতীয়

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পেতে ভারতের আদালতে মামলার সুপারিশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫২ পিএম

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পেতে ভারতের আদালতে মামলার সুপারিশ

টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসাবে ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে মেধাস্বত্ব সুরক্ষাবিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ আইপি ফেরাম। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বাংলাদেশকে ভারতের আদালতে মামলা এবং যেসব পণ্যের জিআই সনদের জন্য আবেদন করা হয়নি সেগুলোর ব্যাপারে এখনই সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ‘বাংলাদেশি জিআই পণ্য  সুরক্ষা’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানায় আইপি ফোরাম। 

এর আগে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডিও টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই ফিরে পেতে ভারতের আদালতে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছিল। 

সংবাদ সম্মেলনে আইপি ফোরামের প্রধান নির্বাহী মনজুরুর রহমান বলেন, জিআই সনদ পাওয়ার মতো অনেক পণ্য থাকার পরও এসব সম্পদ রক্ষার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে সচেতনতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, জিআই সনদ উৎপাদকদের পণ্যের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে। এতে অন্য দেশের সমজাতীয় পণ্য থেকে তাদের পণ্য আলাদাভাবে চেনা যায়। 

এর ফলে পণ্যের আলাদা খ্যাতি তৈরি হয়। পণ্যের দামও পাওয়া যায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি। তাই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সনদ যাতে সহজে পাওয়া যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। 

আইপি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার হামিদুল মিজবাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জিআই সম্পর্কিত বিধি-বিধান না থাকায় বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শন, বিক্রয় ও প্রতিযোগিতায় পিছিয়েছিল। তবে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধন আইন-২০১৩ ও ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধন ও সুরক্ষা বিধিমালা-২০১৫ প্রণীত হওয়ার পর এ পর্যন্ত ২৮টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি কিভাবে পায়? সরকারের উচিত ভারতের আদালতে এ বিষয় দ্রুত মালমা করা। কারণ টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের ভৌগোলিক পণ্য।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ডব্লিউআইপিওর নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) জিআই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। 

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা ৩১টি। সর্বশেষ নতুন করে তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসাবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। পণ্য তিনটি হলো- যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান ও জামালপুরের নকশিকাঁথা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ট্রাস্টি সানোয়ার হোসেন বলেন, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের নিবন্ধনের জন্য কোনো ব্যক্তি সংঘ, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে ডিপিডিটিতে পর্যাপ্ত প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্তসহ আবেদন করতে হয়। 

এছাড়া তদারকি সংস্থাও আবেদন করতে পারে। যেসব পণ্যের জিআই সনদের জন্য আবেদন করা হয়নি সেগুলোর জন্য এখন থেকেই চেষ্টা করতে হবে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম