Logo
Logo
×

জাতীয়

বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন অপরিহার্য: আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম

বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন অপরিহার্য: আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ

পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন-কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক তথ্যাদি সমতলের মানুষের মাঝে তুলে ধরতে রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হয়েছে ৪ দিনব্যাপী পার্বত্য মেলা-২০২৪।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য অঞ্চলের সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে আয়োজিত মেলায় তিন পার্বত্য জেলার উৎপাদিত কৃষি পণ্যসামগ্রী, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী তাঁতে বোনা পণ্য, বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য খাবার নিয়ে হরেক রকমের স্টল বসেছে।
 
বুধবার বিকালে পার্বত্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দীপংকর তালুকদার এমপি, বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যথাক্রমে ক্য শৈ হ্লা, অংসুই প্রু চৌধুরী, মংসুই প্রু চৌধুরী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা । এতে  স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান।
 
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন অপরিহার্য। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবনমান অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। পর্বতমালা নদ-নদী, বহুপ্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী এ অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো ও মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমান সরকারের সময়োচিত উদ্যেগ গ্রহণের ফলে পার্বত্য জেলাসমূহ আজ কোন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। আজ দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সমান অংশীদার। তিনি মেলা আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রতি বছর পার্বত্য মেলা আয়োজন করার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।
 
সভাপতির ভাষণে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, যোগ্য নেতৃত্ব আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে চলমান পাহাড়ি-বাঙালি ভ্রাতৃঘাতী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে। ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফলে বিগত ২৬ বছরে বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। 

সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াত, কৃষি, ক্রীড়া, সংস্কৃতি সর্বোপরি জীবনযাত্রার মান আগের তুলনায় অধিকতর উন্নত হয়েছে।
 
এর আগে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ অতিথিদের নিয়ে মেলার স্টলসমূহ ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং স্টলের কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম