এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা
শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র ছেঁড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
দেশে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার ঘটনায় অভিযোগ তদন্তে কমিটি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. টিটো মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ কমিটি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এক নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টমতলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি। ওই সময় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর আত্মীয়স্বজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওই শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হুমাইরা বলেন, আমার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। আমার স্বপ্নকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি (পর্যবেক্ষক) আমার খাতা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। আমি এর বিচার চাই।
এর আগে রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পুরোনো ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ওই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন শিক্ষার্থী হুমায়রা। মন্ত্রী বের হওয়ার সময় তিনি পথরোধ করে জানান তার অভিযোগ। এ সময় কর্মকর্তারা হুমাইরার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, ৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার সময় ওই পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন পরীক্ষা কেন্দ্রের একজন পর্যবেক্ষক।
অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে বলা হয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এর সদস্য সচিব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামাল হোসেন।