Logo
Logo
×

জাতীয়

‘আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কেউ ডাক্তার ছিল না, তাই ডাক্তার হতে চেয়েছি’ 

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

‘আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কেউ ডাক্তার ছিল না, তাই ডাক্তার হতে চেয়েছি’ 

সারা দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা। ছবি: যুগান্তর

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ফল প্রকাশিত হয়েছে রোববার। সেখানে সারা দেশের মধ্যে ৯২.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা। রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি ও ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন সর্বা।  

সর্বা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন যুগান্তরকে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মানিক রাইহান বাপ্পী।    

যুগান্তর: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কখন থেকে? 

তানজিম মুনতাকা সর্বা: ডাক্তার হওয়ার জন্য শিক্ষকরাই বেশি মোটিভেশন দিতেন। তাদের জন্যই আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। আরেকটা বিষয় হলো যে, আমাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কেউ ডাক্তার ছিল না, তাই ডাক্তার হতে চেয়েছি। 

আরও পড়ুন: ‘বাবার সঙ্গে একটি ছবিই আমাকে ব্যারিস্টার হতে প্রেরণা জুগিয়েছে’

যুগান্তর: চিকিৎসা পেশায় কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করতে চান? 

মুনতাকা সর্বা: বিষয়টি নিয়ে এখনো ওভাবে ভাবিনি। তবে কিছু দিন যাবৎ কার্ডিওলজিস্ট হওয়ার ইচ্ছা জেগেছে। যদিও এর আগে অন্য ভাবনা ছিল। দেখা যাক, এমবিবিএস শেষ হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

যুগান্তর: এ সফলতার পেছনের কাকে বেশি পাশে পেয়েছেন? 

তানজিম মুনতাকা সর্বা: আমার সফলতার পেছনে বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা আমাকে অনেক বেশি সহযোগিতা করেছেন। এক কথায় যদি বলি আমার ব্যক্তিগতজীবনে আব্বু-আম্মুই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। এমন কোনো বিষয় নেই, যা নিয়ে আমি বাবা-মায়ের সহযোগিতা পাইনি। মেডিকেল প্রিপারেশনের সময় অনেক হতাশায় থাকতাম, কিন্তু আব্বু-আম্মু এমনভাবে পাশে থাকতেন যে, এগুলো সব ভুলে যেতাম। বাবা-মায়ের সহযোগিতা না পেলে কখনো মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সম্ভব ছিল না।

যুগান্তর: ভবিষ্যতে যারা এ ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেবে তাদের উদ্দেশে কী পরামর্শ থাকবে? 

তানজিম মুনতাকা সর্বা: ভবিষ্যতে যারা পরীক্ষা দেবে, এসএসসি প্রিপারেশনটা পুরোপুরি নিতে হবে। ওটা কমপ্লিট থাকলে পরবর্তী প্রিপারেশন অনেক বেশি সহজ হবে। আরেকটা বিষয় হলো পড়াশোনাটা রেগুলার করতে হবে। একই সঙ্গে একটা গাইডলাইনও খুব জরুরি। আর প্রিপারেশন চলাকালে বেশি বেশি পরীক্ষা দিতে হবে। আমি অনেক বেশি পরীক্ষা দিয়েছি, যার কারণেই আমি মনে হয় এগিয়ে আছি।

যুগান্তর: ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? 

তানজিম মুনতাকা সর্বা: ভবিষ্যতেও সফলতার শীর্ষে থাকার জন্য যে প্রচেষ্টা দরকার সেটা অব্যাহত রাখব। পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করব। মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টাও থাকবে।  

যুগান্তর: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 

তানজিম মুনতাকা সর্বা: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।  
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম