কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু: সস্ত্রীক কারাগারে সাংবাদিক আশফাকুল হক
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
![কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু: সস্ত্রীক কারাগারে সাংবাদিক আশফাকুল হক](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/02/07/image-771795-1707309092.jpg)
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ নির্দেশ দেন।
এদিন বিকালে সাংবাদিক আশফাকুল হক ও তার স্ত্রীকে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে নিহত গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের (১৫) বাবা লুকেশ উরাং বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. মাহফুজুল হক ভূঞা যুগান্তরকে জানান, সকালে নিহত কিশোরীর বাবা অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে ৩০৪/ক ধারায় মামলা করেন। সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ভবনটির নিচ থেকে সাংবাদিক আশফাকুল হকের বাসার গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই বাড়ির ফটকে জড়ো হয়ে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ আশফাকুল হক, তার স্ত্রীসহ ওই বাসা থেকে ছয়জনকে থানায় নিয়ে যায়।
গত বছরের ৬ আগস্ট একই ধরনের ঘটনা ঘটে আশফাকুল হকের বাসার। ওই সময় ৯ বছরের শিশু গৃহকর্মী ফেরদৌসি লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার ও শিল্পী নামের আরেক নারীকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছিলেন শিশুটির মা।