খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে যেসব কালি ও কোটিং ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক- যা মানব শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকর। তাই খাদ্যপণ্যকে শতভাগ স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ করতে প্যাকেজিংয়ে টলুইনমুক্ত নিরাপদ কালি ও কোটিং ব্যবহার করা প্রয়োজন।
সাধারণ মানুষকে নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সম্প্রতি নতুন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট বা বিএসটিআই। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি পণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত কালির মান নির্ধারণ করে দিয়েছে।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম ও অংশীজনদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকের আয়োজন করে বৈশ্বিক খাদ্য প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন, লেবেলের জন্য প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিগওয়ার্ক। খাবার প্যাকেজিংয়ে প্রিন্টিং কালি ব্যবহারের নির্দেশনা নিয়ে বিএসটিআইয়ের মান মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই আয়োজনের লক্ষ্য।
বৈঠক পরিচালনা করেন সিগওয়ার্কের ভারত অঞ্চলের ব্র্যান্ড ওনার কোলাবোরেশন বিভাগের হেড যতীন টাক্কার। এতে প্যাকেজিং সাপ্লাই চেইন, প্যাকেজিং উপাদানের নিরাপত্তা এবং ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। একটি উপস্থাপনায় নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য দূষণের ঝুঁকির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
যতীন টাক্কার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে দারুণ অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কাজেই যথাযথ ও নিরাপদ সলভেন্ট, পিগমেন্ট ও অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং প্রস্তুত করতে হবে। আর তার জন্য নিয়ন্ত্রক ও সাপ্লাই চেইন উভয় দিক থেকেই খাদ্য প্যাকেজিং বিষয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করা খুবই জরুরি।