Logo
Logo
×

জাতীয়

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মুত্যৃদণ্ড

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১১ পিএম

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মুত্যৃদণ্ড

স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী মো. মানিক মিয়া ব্যাপারীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের  এপিপি আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর মেয়ে সাদিয়া আফরিন রিতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে আসামি। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হতো। প্রায় সময় আসামি বাদীর মেয়েকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। 

এ অবস্থায় ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি বাদীর স্ত্রীর মোবাইলে আসামি ফোন দিয়ে জানায় যে, তাদের মেয়ের খুব জেদ, দুই দিন যাবৎ সে বাসায় আসেনি। তার যদি কিছু হয় সে জন্য আসামি দায়ী থাকব না- বলে মোবাইল কল দেয়। এরপর থেকে আসামির মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বাদীর স্ত্রী ১৪ জানুয়ারি বাড়ি হতে ঢাকার বাসায় গেলে বাসার দরজা তালা বন্ধ অবস্থায় দেখে পাশের ফ্লাটের বাড়িওয়ালার বোনকে জিজ্ঞাসা করলে সে তাকে জানায়, তাদের মেয়ে বাসায় তার স্বামীর সাথে ঝগড়া-ঝাটি করে একটি ব্যাগ নিয়ে একা বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। এই কথা শুনে বাদীর স্ত্রী বাড়িতে ফিরে যায় এবং বাদীকে বিষয়টি জানায়। 

এরপর বাদী তার মেয়ে সম্পর্কে ঢাকা শহরে তাহার নিকটতম আত্মীয়- স্বজনের মাধ্যমে খোঁজখবর নিতে থাকেন। পরে ১৭ জানুয়ারি পুলিশ এসে বাদীকে জানায়, তার মেয়ে ঢাকায় তার বাসায় মারা গেছে, তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। এ কথা শুনে বাদী তার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ভিকটিম সাদিয়া আফরিন রিতার লাশ মাথা শরীর হইতে আলাদা অবস্থায় দেখতে পায়। তার ডান পায়ের উরু ও হাঁটুর নিচে এবং ডান হাতের বগলের উপরে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম ছিল। 

লোকমুখে জানা যায়, বাদীর মেয়ের বর্তমান ভাড়া বাসা হতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির মালিক মিরপুর থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশসহ বাড়ির মালিক ও উপস্থিত লোকজন বাদীর মেয়ের উক্ত ফ্ল্যাটের ভেতর প্রবেশ করে দেখতে পায়, ভিকটিমের মাথাবিহীন শরীর ফ্ল্যাটের দক্ষিণ পাশের রুমের বাথরুমে পড়ে আছে। আর তার দেহ হতে বিচ্ছিন্ন মাথা প্লাস্টিকের নীল রংয়ের একটি ড্রামে রয়েছে। 

এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি ভিকটিমের বাবা মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই মোহাম্মদ সেলিম ৫ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০ এপ্রিল একই আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি আতাউর রহমান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম