সারাদেশে ব্যাপক অভিযান, জরিমানা ২১ লাখ টাকা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
ভোক্তাদের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধে ঢাকাসহ সারাদেশে মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। অভিযানে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুতের অপরাধে শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলায় ৫টি আড়ৎ, পাইকারি দোকানসহ মোট ২৬টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চাল ও ধানের অবৈধ মজুত থাকায় এবং লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা বিভাগের যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলায় চারটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩টি প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স না থাকায় ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া নড়াইল সদর উপজেলার ৬টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না থাকায় সাত হাজার টাকা এবং চুয়াডাঙ্গায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার খাদ্য অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় পাঁচটি রাইসমিলে খাদ্য অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ‘লাকসাম অটোরাইস মিল’ নামক প্রতিষ্ঠানকে দিনাজপুর, বগুড়া ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে ব্যবহার করে ৭০০ বস্তা চাল প্রস্তুত করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় ২ লাখ টাকা টাকা এবং আল-আমিন অটো রাইস মিল নামক প্রতিষ্ঠানে নূরজাহান ব্রান্ডের নামে ২০০ বস্তা চাল মজুত করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ওই মিলগুলোকে আগামী দু’দিনের মধ্যে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স নেওয়ার জন্য ও ভবিষতে এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজ হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের নওগাঁয় ৩৭টি মিলের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মোট ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা ও সিরাজগঞ্জে একটি রাইস মিলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বগুড়ায় ৮১টি রাইস মিল পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে আটটি মিল মালিককে খাদ্যশস্যের লাইসেন্স, মূল্য তালিকা না থাকায় মোট ৪১ হাজার টাকা এবং জয়পুরহাটে মূল্য তালিকা না থাকায় কয়েকটি দোকানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলায় সাতটি অটো রাইস মিলে ও একটি আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মেসার্স মাছরাঙ্গা অটোমেটিক চালকলে অনুমোদনের অতিরিক্ত ১২০ মেট্রিক টন চালের মজুত পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মেসার্স জেএস অটোমেটিক রাইস মিল নামক প্রতিষ্ঠানে মজুত ধান ও চালের গরমিল পরিলক্ষিত হওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই বিভাগে আরেক জেলা দিনাজপুরে আটটি অটো চালকল ও তিনটি আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অস্বাভাবিক মজুত পাওয়া যায়নি। তবে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল ক্রয়-বিক্রয় করার কারণে একজন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা ও লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা করায় একজন খুচরা ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।