বাংলাদেশের এক নম্বর ইউটিউব চ্যানেলের তকমা আগেই জুটিয়েছে। এবার সংবাদভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলের বিশ্ব চূড়ায় উঠল যমুনা টেলিভিশন।
শনিবার প্রকাশিত মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জরিপ সংস্থা সোশ্যাল ব্লেডের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে যমুনা।
ফলে যমুনা টিভি এখন বিশ্বসেরা। বাংলাদেশের সাংবাদভিত্তিক এই টেলিভিশন চ্যানেলটি বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন, ফক্স নিউজ, এনবিসি, ফোর্বস ব্রেকিং নিউজ ও এবিসির মতো চ্যানেলকে পেছনে ফেলেছে।
সোশ্যাল ব্লেডের আজকের র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা ইউটিউব চ্যানেল দুটি ভারতের। চারে রয়েছে দেশটিরই সংবাদভিত্তিক চ্যানেল আজ তাক। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা অ্যারাবিক পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে।
যমুনা টেলিভিশনের এগিয়ে যাওয়ার এমন খবর বছরের শুরু থেকেই আসতে শুরু। নতুন বছরের শুরুতে সোশ্যাল ব্লেডের র্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে উঠে আসে যমুনা। তারপর বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) জানা যায়, আরও দুই ধাপ এগিয়েছে। ১৩ জানুয়ারি আরও দুই ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নেয় যমুনা টেলিভিশন।
কেবল চলতি বছরেই নয়, গত হওয়া বছরগুলোতেও এই র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছিল যমুনা। বাংলাদেশি কোনো ইউটিউব চ্যানেল হিসেবে যমুনা রাঙিয়েছিল তিন, চার ও পাঁচের মতো স্থান।
সোশ্যাল ব্লেড প্রতি সপ্তাহে ইউটিউব চ্যানেলের দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি কনটেন্টের মান বিবেচনা করে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। সোশ্যাল ব্লেড ইউটিউব সার্টিফাইড র্যাঙ্কিং নির্ধারণকারী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। তারা ইউটিউব ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্যও প্রকাশ করে থাকে।
র্যাঙ্কিং নির্ধারণকারী এই প্ল্যাটফর্মে শীর্ষস্থান অর্জন সম্পর্কে যমুনা টেলিভিশনের নিউ মিডিয়া এডিটর রুবেল মাহমুদ বলেন, অনেক চ্যানেলের মতো স্রোতে গা না ভাসিয়ে নিউজের গুরুত্ব বুঝে কনটেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করি। দর্শককে বিভ্রান্ত করে ভিউ নেওয়ার পরিবর্তে বরং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বিভ্রান্তি কাটানোর চেষ্টা থাকে সবসময়। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সোশ্যাল ব্লেডের র্যাঙ্কিংয়ে।
যমুনা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে যমুনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এক কোটি ৬০ লাখের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। কেবল ইউটিউবে নয়, যমুনার ফেসবুক পেজও পিছিয়ে নেই। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্রাউডট্যাঙ্গেল ডেটাবেসের হিসেবে প্রায়ই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ইন্টার্যাকটিভ পেজের তালিকায় থাকে যমুনার ফেসবুক পেজ।
যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক (সিএনই) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তথ্যের যাতে কোনো ব্যতয় না ঘটে এবং তা যত দ্রুত করা যায়— সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিই সবচেয়ে বেশি। এজন্য যমুনা টিম একযোগে কাজ করে। এরই ফল পেয়েছি আমরা।
যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ এমন অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় টেলিভিশন চ্যানেলের দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মানুষের তথ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বৈচিত্র্যের দিকেও আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বস্তুনিষ্ঠতা টিম যমুনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
তিনি আরও বলেন, দেশের অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলও নিশ্চয় উদ্বুদ্ধ হবে আমাদের অর্জনে। আমরা চাই তারাও এ প্রতিযোগিতায় থাকুক, সেরা দশে স্থান করে নিক।
জনগণের কথা বলে বিশ্ব দরবারে নিজেদের এমন উপস্থিতি জানান দিতে ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল যাত্রা শুরু হয়েছিল যমুনা টেলিভিশনের। প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম স্বপ্ন দেখতেন, এই টেলিভিশন একদিন বিশ্বের ‘আল জাজিরা’ হয়ে উঠবে। মানুষের প্রতিনিধি হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলবে।