নির্বাচনে যারা এসেছিল তারা পর্যবেক্ষক নয়, মেহমান: বদিউল আলম মজুমদার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার, বিরোধী দল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন ভাষ্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও বিভাজন রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল না বলে মতামত দিয়েছে। পক্ষান্তরে চীন, রাশিয়া ও ভারত তারা মনে করেছে ভালো নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে একদল তথাকথিত পর্যবেক্ষক এসেছিল, তারা আসলে পর্যবেক্ষক নয়, মেহমান। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে এসেছিল। সরকারই তাদের সব খরচ বহন করেছে। তারা বলেছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, যদিও তাদের মধ্যে একজন আপত্তিও জানিয়েছে।
সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।
সুজন সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও অনেক জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রথমে ২৮ শতাংশ বললেও তার কর্মকর্তারা মনে করিয়ে দেওয়ার পর তিনি ৪১ শতাংশের কথা দাবি করেছেন। পক্ষান্তরে যেসব গণমাধ্যমকর্মীরা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন- তারা বলেছেন ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই নগন্য। এটা এখন ব্যাপকভাবে প্রচারিত, নির্বাচন কমিশনের লোকজন ছাড়া সবাই বলছে যে ভোটার উপস্থিতি তেমন ছিল না।
তিনি বলেন, সরকারি দল ভোটার উপস্থিতিকেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মানদণ্ড হিসেবে উপস্থাপন করছেন। কিন্তু আমরা যদি ৪২ শতাংশও ভোটার উপস্থিতি ধরি, তবুও ৫০ শতাংশের নিচে রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা উপস্থিত হয়নি। এটা এক অর্থে বলা যায়- যে ভোটের মাধ্যমে সরকার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এ নির্বাচন গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বৈশিষ্টে উর্ত্তীর্ণ নয় মন্তব্য করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একদল নিয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয় না। বহুদল, বহুমত, বহু আদর্শ, বহু কর্মসূচি, তার থেকে বেছে নেওয়া হলো নির্বাচন। সেই সুযোগ তো এবার ছিল না। এটি একদলীয় বিষয় ছিল। একদল তাদের মিত্র ও সহযোগীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়েছে। এটা গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল না।