দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তিনি। তিনি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন।
এর আগে চিত্রনায়ক ফারুক মারা গেলে এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আরাফাত। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলমকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এমপি হন।
৭ জানুয়ারি ফল গণনা শেষে দেখা যায়, ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারা বাংলাদেশের আইনুল হক এক হাজার ৩৮০ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। সংসদে আসন নং-১৯০। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১২৪টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৩ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৪ জন।
রাজনৈতিক জীবন
আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি জুলাই ২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবন
আরাফাতের পিতা মোহাম্মদ সেতাব উদ্দিন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ছিলেন। তিনি শহীদুল্লাহ কায়সার এবং পান্না কায়সারের মেয়ে শমী কায়সারকে ২০০৮ সালের ২৪ জুলাই বিয়ে করেন। ২০১৫ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর বিয়ে করেন শারমিন মুস্তারিকে।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন শিক্ষাবিদ। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।