গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
অসাম্প্রদায়িকতা রক্ষায় ৭ জানুয়ারি সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম
অসাম্প্রদায়িকতা রক্ষায় ৭ জানুয়ারি সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
সংগঠনটির আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, এবারের নির্বাচনে কে নির্বাচনে জয়ী হবে সেটি বড় কথা নয়- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং বাঙালির বাংলাদেশ বিষয়টি প্রমাণ করতে এবারের নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে সব নাগরিককে তার ভোটাধিকার প্রয়োগে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে হবে। কমপক্ষে ৬০-৬৫ শতাংশ ভোট পড়লে প্রশ্নাতীতভাবে আবারো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরড্যাপ মিলনায়তনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের উপস্থাপনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ, সাবেক সচিব কবি আছাদ মান্নান প্রমুখ।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধর্মীয় রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় এবারের নির্বাচনকে অভিনব বলা যেতে পারে। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। সেগুলো মোকাবিলা করতে সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ১৯৯১ সালে যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অংশ নিয়েছে, জামায়াত তাদের পক্ষ নিয়েছে। একটি পক্ষ বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে দেখে এসেছে। যার ফলাফল সবশেষ আদম শুমারি অনুযায়ী সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর হার ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। অথচ সংখ্যালঘুরাওতো মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছে। এবারের নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত নাই। কিন্তু ৮-৯টি কেন্দ্রের নাম আছে, হিন্দুদের পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রে গেলেই বিপদ হবে। ফল দেখলে বুঝতে পারবো। ফল বিপক্ষে গেলে হামলা চালাবে। এই হুমকি থাকলে কিভাবে সংখ্যালঘুরা ভোট কেন্দ্রে যাবে? তবে এবারের ফলাফলের যে ধারা, কোনো স্বাধীনতা বিরোধীর উপস্থিতি সেখানে থাকবে না। এটাই স্বস্তির বিষয় আমাদের জন্য।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরি মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, ধর্মের রাজনীতি চলবে না। পরে ধর্মীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাকে খুন করে ২৬ বছর দেশ শাসন করে এটির ডালপালা ছড়িয়ে গেছে। ওই গোষ্ঠী এখন জনগণকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করছে। এটা অপরাধ। হিন্দু বা অন্য সম্প্রদায় বিশ্বাসী লোকদের ভোটদানে বাধা দিতে পারে ধর্মীয় এই রাজনৈতিক অপশক্তি। এদিকে সবার সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।