Logo
Logo
×

জাতীয়

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে পরামর্শ পাকিস্তানি গণমাধ্যমের

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৬ পিএম

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে পরামর্শ পাকিস্তানি গণমাধ্যমের

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলের ধরার পাশাপাশি এ থেকে উত্তরনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের অনেক পুরনো সংবাদমাধ্যমটি সম্পাদকীয়তে বলেছে, একটি নতুন সরকার নির্বাচন করতে রোববার বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে এই নির্বাচন খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। কারণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধীদের খুব কমই কাজ করতে দিয়েছে। দুঃখজনকভাবে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওয়াজেদের প্রশাসন মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বর রদ করার পাশাপাশি সমস্ত বিরোধী শক্তিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। 

নোবেল বিজয়ী এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ‘ব্যাড বুকে’ রয়েছেন। সোমবার তিনি তার টেলিকম ফার্মে ‘শ্রম আইন লঙ্ঘনের’ জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ১০০টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি ইউনূস সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন যে, এটি দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যাংকারের আগের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফলাফল। 

এদিকে প্রধান বিরোধী শক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর দমন-পীড়ন নিরলসভাবে চলছে। পার্টির হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থকদের  তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন এই ভয়ে যে, নিরাপত্তা যন্ত্র তাদের ধরিয়ে দেবে। বিএনপি নির্বাচন তদারকি করার জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিল।

সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর দলটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ বিদেশি সরকার এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা এই ক্র্যাকডাউন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের প্রশাসনে কোনো প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি এই অঞ্চলে গণতন্ত্রের জন্য বৃহত্তর হুমকির প্রতিফলন। পাকিস্তানেও একইরকমভাবে নির্বাচনি অনুশীলন সম্পর্কে বৈধতার অনুরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। তাছাড়া ভারতেও কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন। সেখানেও রয়েছে গণতান্ত্রিক সংকট। কারণ বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদীরা বারবার সে দেশে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নীতিকে আঘাত  করেছে। 

১৯৯০ এর দশকের শুরুতে দীর্ঘ সামরিক শাসনের অবসানের পর বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পথে হাঁটতে শুরু করেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কয়েক দশক ধরে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন্দল বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ আজ একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।  

যদিও অনেক দেরি হয়ে গেছে তবুও আসন্ন নির্বাচন রক্ষা করতে শেখ হাসিনা এবং তার দলকে তাদের পদ্ধতিগুলি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ সমস্ত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর হস্তক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশি গণতন্ত্রের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং সমাজে বিভক্তি বাড়িয়ে দেবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম