থার্টিফার্স্ট নাইট
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আতশবাজি ফানুসে বর্ষবরণ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
থার্টিফার্স্ট নাইটে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীসহ সারা দেশেই আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো হয়েছে। অতিষ্ঠ হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ। একই রাতে ফানুস ওড়াতে গিয়ে রাজধানীতে চাচা-ভাতিজাসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
কামরাঙ্গীরচর মুজিবর ঘাট এলাকার একটি বাসার ৫ম তলার ছাদে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন-মো. স্বপন বেপারীর ছেলে মো. সিয়াম, দানেশ বেপারীর ছেলে মো. রাকিব হোসেন ও তার ভাই মো. রায়হান। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সিয়ামের শরীরের ৮৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে ভর্তি রেখে বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জাতীয় জরুরি সেবা সূত্রে জানা গেছে, ফানুসে লাগা আগুন, আতশবাজি-লাউডস্পিকারে গান-বাজনা ও শব্দদূষণের বিষয়ে সারা দেশ থেকে ৯৭১টি ফোন কল এসেছে তাদের কাছে। এসব বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা, স্কাটন গার্ডেন, বাংলামোটর, মগবাজার, মহাখালী, মিরপুর, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে মাঝেমধ্যে পটকা ফোটানোর শব্দ পাচ্ছিলেন তারা। রাত ১২টার দিকে তা বেড়ে যায় বহুগুণ। কোনো কোনো এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। বাসাবাড়ির ছাদ ও ফাঁকা জায়গা থেকে ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ডিএমপির ৫০টি থানার পুলিশ জরুরি সেবায় কল পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আগের তুলনায় এবার ঢাকা শহরে ফানুস খুবই কম উড়েছে। এসব ঘটনায় কোনো গ্রেফতার নেই বলে জানান তিনি।
৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার যুগান্তরকে জানান, সারা দেশ থেকে আসা ৯৭১টি কলের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় ২৩৭টি। সবগুলো কলের বিপরীতে সেবা দেওয়া হয়েছে। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ স্থানে পুলিশ গিয়ে সমস্যার সমাধান করেছে।