ট্রেনের যাত্রী হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট: ৩ জনের জবানবন্দি
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম
নাশকতা করে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিসাধনের মামলায় আদালতে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা নিজেদের সম্পৃক্ত করে জবানবন্দি দেন।
ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে জান্নাতুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানের আাদালতে মেহেদী হাসান এবং জুলহাস উদ্দিনের আদালতে শাহানুর এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার দুপুরে অভিযুক্তদের ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. সালাহউদ্দিন।
অভিযুক্তরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে অভিযুক্ত তিনজন নাশকতার ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার পাশাপাশি অনেকের নাম প্রকাশ করেছেন।
অভিযুক্তরা জানান, তারা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। চলমান অবরোধ ও হরতাল সফল করার জন্য এবং সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে গত ১১ ডিসেম্বর তারা ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমল ভূঁইয়ার বাসায় মিটিং করেন। সেখানে তারা রেললাইন উপড়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন।
মিটিংয়ে বিএনপির ২৮ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে কাউন্সিলর আজমল ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী, ব্যবসায়ী, মৎস্য খামারি উপস্থিত ছিলেন। রেললাইন উপড়ে ফেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় আজিমউদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তোহাকে।
পরিকল্পনা মোতাবেক তোহা তার লোকজনদের নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর ভোররাতে ভাওয়াল রাজেন্দ্রপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া এলাকায় নাশকতার উদ্দেশ্যে ১৫ ফুট রেললাইন কেটে ফেলেন।
এরপর ভোর সোয়া ৪টায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে একজন নিহত হন ও অনেকেই আহত হন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুল আলম খান বাদী হয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলা করেন।
এদিকে এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার আসামি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমল ভূঁইয়া, সাইদুল আলম, জুলকারনাইন হৃদয় ও সোহেল রানা বর্তমানে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।