মৃত্যুদণ্ডের আগে কনডেম সেলে রাখা বৈধতা নিয়ে রায় যে কোনো দিন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এমন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার শুনানি শেষে রুলের রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আদালতের আহ্বানে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে এ বিষয়ে মতামত দেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এসএম শাহজাহান। আইজি প্রিজন্সের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার শাহরিয়ার শাকির।
২০২২ সালের ৫ এপ্রিল এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছিলেন উচ্চ আদালত।
রুলের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনি কোনো বিধান নেই। মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে কয়েকটি আবশ্যকীয় আইনি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসাবে বন্দি রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, জেল কোডের ৯৮০ বিধি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের পৃথকভাবে কনডেম সেলে রাখা হবে।
২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কয়েদি। তারা হলেন-চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন আছে।