সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় জানুয়ারিতে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম
ফাইল ছবি
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে আদালত আবমাননার দায়ে বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় হবে। ৬ ডিসেম্বর সোহেল রানার আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আজ রায়ের তারিখ পিছিয়ে আদেশ দেওয়া হয়।
কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলের ওপর ২৩ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করা হবে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। আদালতে বিচারক সোহেল রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী ও শাহ মঞ্জুরুল হক।
২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামুন চৌধুরী ও রিয়া আক্তার দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলাটির কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে তারা হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন; কিন্তু স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বিচারকাজ পরিচালনার বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামুন। গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট সোহেল রানাকে তলব করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গত ২১ আগস্ট হাজির হতে বলেন।
নির্ধারিত তারিখে সোহেল রানা হাইকোর্টে হাজির হন এবং পরে জবাব দেন। এ জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ২৮ আগস্ট সোহেল রানার প্রতি স্বপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত অবমাননার রুলের পর গত ৩১ আগস্ট সোহেল রানা মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত।
আদালত অবমাননার রুলের পরিপ্রেক্ষিতে সোহেল রানা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আদেশে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
একইসঙ্গে এই বিচারককে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এ আদেশের পর একই দিন ওই বিচারক জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে আপিলের শর্তে ৩০ দিনের জামিন দিয়েছেন। এরপর ওই দিন বিকালে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সোহেল রানা। আবেদনের পর চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন বিচারক সোহেল রানা। আপিলে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। গত ৬ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।