নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের টার্গেট ১০ হাজার মেগাওয়াট
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম
দুবাইয়ে আইএসএ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: যুগান্তর
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী প্রজন্মের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সৌরশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুতের প্রসারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬১.৯ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইডের সমতুল্য গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা সবুজ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ) আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর আমাদের জ্বালানি মিক্সে ৩০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সংযুক্ত হয়েছে। ৩৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে। অধিকন্তু ৫০০০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এবং আরও ৫০০০ মেগাওয়াট অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জমির সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ, সোলার হোম সিস্টেম, মিনি গ্রিড, সৌর সেচ এবং সোলার রুফটপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৌর প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি অনুমোদিত সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা-২০২৩-এ আইএসএ-এর দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৫০.৪ ট্রিলিয়ন ওয়াট/আওয়ার পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তাছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। আইএসএ-এর মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুরসহ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে সোমবার আইআরইএনএ আয়োজিত ‘জীবন ও জীবিকার ক্ষমতায়ন: জলবায়ুর জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ উদ্যোগটির উšে§াচন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
বৃহৎ আকারের প্রকল্পের বাইরেও ছাদে সোলার, ভাসমান সোলার ও সৌর সেচের মতো ছোট উদ্যোগের দিকেও বাংলাদেশ মনোনিবেশ করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজার সোলার ইরিগেশন পাম্প প্রতিস্থাপন করার বিষয়টি রোডম্যাপে বলা হয়েছে। ফলে ডিজেলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে এবং পরিবেশগত ব্যাপক উন্নতি ঘটবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মেদ আলমেহইরি, আইসল্যান্ডের পরিবেশ, জ্বালানি ও জলবায়ুমন্ত্রী গাডলাওগার থর থরডারসন, বেলজিয়ামের উপপ্রধান কেবিনেট ডমিনিকিউ পারিন, নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেট এবং ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজসম্পদমন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ বক্তব্য দেন।