ভারতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৮ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর পশ্চিমে ভারতের তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের দিকে অগ্রসর হয়েছে। মঙ্গলবার এটি ওই অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
বাংলাদেশে আঘাতের আশঙ্কা একেবারেই কম। তবে এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আর উত্তরাঞ্চল বাদে রাজধানী ঢাকাসহ অন্য এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন রোববার রাতে যুগান্তরকে এসব তথ্য জানান।
রোববার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
কক্সবাজার উপকূল থেকে ১ হাজার ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মিগজাউম’ নামটি মিয়ানমারের দেওয়া।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির বাংলাদেশে আঘাত করার আশঙ্কা কম। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূলের দিকে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের এলাকাভেদে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
তিন সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত: মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ ক্রমেই উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী সাগার বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এ কারণে মোংলাসহ তিন সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।